শেরপুরের নকলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবযোগদানকৃত ৬২ জন সহকারি শিক্ষকদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ-এঁর সভাপতিত্বতে নতুন শিক্ষকদের বরণ, পরিচিতি ও মতবিনিমিয় সভার আয়োজন করে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফজিলাতুন্নেছা প্রমুখ।
এসময় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পার্থ পাল, নকলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও খইড়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম হোসেনসহ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, নবযোগদানকৃত ৬২ জন সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, এ নিয়োগে নকলা উপজেলার ২৩ জন পুরুষ ও ৪০ জন মহিলাসহ ৬৩ মেধাবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগ পেয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে একজন অন্যত্র ভালো চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ায় তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। এছাড়া বাকি ৬২ জন সহকারী শিক্ষক ২২ জানুয়ারি (রোববার) জেলা শিক্ষা অফিসে অফিসিয়ালী যোগদান করেন। পরে জেলা শিক্ষা অফিসের সুপারিশক্রমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাধি নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে, অত:পর, কর্তৃপক্ষের সুপারিশ মোতাবেক নতুন সহকারী শিক্ষকগন স্ব স্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে কাজে যোগদান করেন।
নবযোগদানকৃত সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম হীরা বলেন, শতভাগ স্বচ্ছতায় ও সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় আমাদের অনেক মেধাবী বেকারের ভাগ্য খোলেছে। তিনি জানান, কোন প্রকার সুপারিশ ও ঝামেলাহীন নিয়োগ পাওয়ায় শিক্ষকগন তাদের সর্বোচ্চটা শিক্ষার্থীদের বিলিয়ে দিতে সদা তৎপর থাকবেন, এতে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই।
আরেক নতুন সহকারী শিক্ষক মোশারফ হোসেন বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার কারনে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়ায় প্রতিটি শিক্ষক সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সহিত পাঠদানসহ নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। এটাই স্বভাবিক; আর এমনটাই হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।

উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ৬২ জন শিক্ষক যোগদান করায় স্বভাবিক কারনেই প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে বলে অনেকে মনে করছেন।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের ঠিক পরের দিন সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার ও ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফল মোতাবেক জানা গেছে, সদ্য যোগদানকৃতদের মধ্যে একজন শিক্ষিকা সহকারী জজ হিসেবে ও একজন শিক্ষক ব্যাংকের অফিসার হিসেবে চূড়ান্ত ভাবে মনোনিত হয়েছেন। এই দুইজন তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদান করলে দুটি পোস্ট পুনরায় শূণ্য হয়ে যাবে বলে অনেকে জানান।