১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে নিজের স্বাধীন করা দেশে পরবাস জীবন যাপন করছেন বাদল চন্দ্র দে নামের শেরপুরের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা!
বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল চন্দ্র দে শেরপুর জেলা শহরের সজবরখিলা মহল্লার বাসিন্দা। স্বাধীনতার ৫১ বছর অতিক্রম হলেও এই বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। স্বাধীন দেশে মাথা গোঁজবার মত এক টুকরো জায়গা নেই তাঁর। অন্যের বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন তিনি। সরকারের নির্ধারিত ভাতার টাকায় চলে তাঁর চিকিৎসা ও সংসারের যাবতীয় খরচ।
তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী জীবন যাপন করছেন। কিছুদিন তিনি শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু চিকিৎসায় কোন উন্নতি হয়নি। বর্তমানে ফুসফুস ও পেটে পানি জমেছে। হৃদযন্ত্র ও কিডনির অবস্থা ভাল না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকগন। এই মুহুর্তে তাঁর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানান তারা। এমতাবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল চন্দ্র দে কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অথবা রাজধানী ঢাকার কোন উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসা করানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু চিকিৎসার ব্যয়তো দূরের কথা, তার পরিবারের সদস্যদের কাছে যাতায়াতের ভাড়া বহন করার মত অর্থ সম্পদ নেই বলে জানিয়েছেন অসুস্থ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল চন্দ্র দে।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশবাসীর প্রতি আকুতি জানিয়ে বলেন- “আমি বাঁচতে চাই, আমাকে বাঁচান।” যাদের হাত ধরে আমরা স্বাধীন দেশে পেয়েছি। পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। বিশ্ব দরবারে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের নাগরিকের পরিচয় পেয়েছি আমরা। এমন একজন বীর সূর্য সৈনিক অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় ও অন্যের বাড়িতে থেকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করবেন! এটা বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের সকলের লজ্জার বিষয় বলে মনে করছেন পেশা-শ্রেণীর মানুষ। তাই এই বীর সৈনিকের পাশে দাঁড়াতে সব মহলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন অসুস্থ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয় অনেকে।