সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের টুইট অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। টুইটার কোম্পানি বলছে, ভবিষ্যতে সহিংসতা উস্কে দেবার ঝুঁকি থাকার কারণে ডোনাল্ট ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে। টুইটার বলছে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করা টুইটগুলো গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, তাঁর টুইট করা লেখাকে ঘিরে নতুন নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এর ভিত্তিতে তারা এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে বলে জানায় টুইটার কোম্পানির কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি।
এর আগে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি টুইটার কর্তৃপক্ষ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে রেখে তাকে সতর্ক করে বলেছিল, টুইটার প্ল্যাটফর্মের নিয়মনীতি ভঙ্গ করলে তারা ট্রাম্পকে চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করে দিবে। এর পরেও সতর্ক নাহওয়ায় এমন সিন্ধান্ত নিতে হলো বলে জানা গেছে।
শুক্রবারে সার্চ ইঞ্জিন গুগল- সম্পূর্ণ মুক্ত মতামতের প্লাটফর্ম ‘পার্লার’ স্থগিত করে দেয়; যেটা ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল। গুগল কর্তৃপক্ষ জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সহিংসতা উস্কে দিচ্ছে যেসব পোস্ট, তেমন কিছু পার্লার অ্যাপে অনবরত পোস্ট করা হচ্ছে। সে সম্পর্কে তাঁরা সতর্ক আছেন বলেই ‘পার্লার’ স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক ও জনপ্রিয় গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইস্ট ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইস্ট চ্যানেল ব্যবহার করে ডোনাল্ট ট্রাম্পের তার সমাবেশ সম্প্রচার করতেন। স্ন্যাপচ্যাট থেকেও নিষিদ্ধ হয়েছেন সাবেক মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া, অন্যদিকে ট্রাম্পের মেমোরিবিলিয়া বিক্রি করে এমন দুইটি অনলাইন স্টোরকে এ সপ্তাহে নিষিদ্ধ করেছে ই-কর্মাস কোম্পানি শপিফাই।
উল্লেখ্য, আমেরিকার আইন-প্রণেতারা গত বুধবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন। এমন সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা তথা বিক্ষোভকারীরা আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে কয়েক ঘণ্টা কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবন দখল করে রাখে। যদিও পরে ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যায় তারা। কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে ঘটে যাওয়া ঘটনার দিন থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েক জনের হতাহতের খবর প্রকাশ হয়। যা বিবিসিসহ বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।