নিজস্ব প্রতিবেদক:
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুওরেস্ট (আইএসপিপি) ‘যত্ন’ প্রকল্পের ক্যাশকার্ড বিতরণের অন্তত ৫দিন হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ন্ত্রণে অতিদরিদ্র গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে আইএসপিপি যত্ন প্রকল্পের নগদ অর্থ বিতরণের লক্ষে যত্ন প্রকল্পের ক্যাশকার্ড বিতরণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন নকলা উপজেলার যথাযথ কর্তৃপক্ষ। এদিকে দেশব্যাপী জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে নকলায় জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন চলমান আছে। ইউনিয়ন ভিত্তিক যত্ন প্রকল্পের ক্যাশকার্ড বিতরণের সম্ভাব্য তারিখের সাথে উপজেলার নকলা, উরফা, গনপদ্দী, টালকী ও চরঅষ্টধর ইউনিয়নের জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের পূর্বনির্ধরিত দিন-তারিখ একই হওয়ায়, এ ৫টি ইউনিয়নের ৫দিন জাতীয় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমতাবস্থায় ৫ জানুয়ারিতে নকলা ইউনিয়নে, ৬ জানুয়ারিতে উরফা ইউনিয়নে, ৯ জানুয়ারিতে গনপদ্দী ইউনিয়নে, ১১ জানুয়ারিতে টালকী ইউনিয়নে ও ১২ জানুয়ারিতে চরঅষ্টধর ইউনিয়নে যত্ন প্রকল্পের ক্যাশকার্ড বিতরণের সম্ভাব্য তারিখ পরিবর্তন করা জরুরি। তা-না হলে এসকল প্রতিটি ইউনিয়নে এক-তৃতীয়াংশ এলাকার শিশুরা হাম-রুবেলা টিকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে। কারন এদিন শিশুর মায়েরা তাদের সন্তান নিয়ে যত্ন প্রকল্পের ক্যাশকার্ড সংগ্রহ করতে চলে যাবেন।
দেশ ব্যাপী স্বাস্থ্য বিভাগের জাতীয় ক্যাম্পেইন বিবেচনায় উক্ত ৫টি ইউনিয়নের যত্ন প্রকল্পের ক্যাশকার্ড বিতরণের সম্ভাব্য তারিখ পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় সুশীলজনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগনের সাথে কথা বলবেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রথম দিকে ময়মনসিংহ বিভাগের ৩টি জেলা ও রংপুর বিভাগের ৪টি জেলার মোট ৪৩টি উপজেলাকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করেছে সরকার। এরমধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ সদর জেলার ১৩টি উপজেলা, শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলা ও জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলা এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলা, কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলা, লালমনিরহাট জেলার ১ টি উপজেলা ও নীলফামারী জেলার ১ টি উপজেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অতিদরিদ্র গর্ভবতী মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে ছিন্নমূল প্রতিটি শিশুর যত্নের জন্য শিশুর মাকে প্রতি মাসে ন্যূনতম ৭০০ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তবে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে এ টাকার সঙ্গে চিকিৎসায় খরচ হওয়া বিল যুক্ত হবে। এসব হিসেব রাখার দায়িত্বে আছে ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতি মাসের জন্য বরাদ্দ হলেও এ টাকা বিতরণ করা হবে তিন মাস পর পর। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ডাক বিভাগের ‘নগদ’-এর মাধ্যমে এ টাকা বিতরণ করা হবে।