এবার মারধরের হাত থেকে নিজে ও সন্তানদের রক্ষা করতে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহায়তা চাওয়ার পাশাপাশি থানায় সাধারন ডয়েরী (জিডি) করেছেন। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই বাসা থেকে সটকে পড়েন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
জিডি মূলে জানা গেছে, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সাম্প্রতিক সময়ে কারণে-অকারণে তার স্ত্রী ও সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে আসছিলেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পূর্বের ন্যায় অযথাই স্ত্রী ও সন্তানদের গালিগালাজ শুরু করেন এবং মারধর করতে যান। তখন বাধ্য হয়ে ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহায়তা চান। ফোন পেয়ে ধানমন্ডি থানার পুলিশ বাসায় পৌঁছার আগেই বাসা থেকে সটকে পড়েন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
পরে সন্ধ্যায় ধানমন্ডি থানায় গিয়ে ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে জিডি করেন তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। লিখিত জিডিতে এসব কথা জানান ডা. জাহানারা এহসান।
ডা. জাহানারা এহসানের দায়ের করা লিখিত জিডিতে তিনি বলেন, বিবাদী ডা. মুরাদ হাসান আমার স্বামী। তার সাথে বিগত ১৯ বছর যাবত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। বিবাহিত জীবনে আমাদের সংসারে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। তিনি বর্তমানে সরকারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি কারণে-অকারণে আমাকে এবং আমার সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ৩টার দিকে পূর্বের ন্যায় আমাকে ও সন্তানদের গালিগালাজ করে মারধর করতে গেলে আমি ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহায়তা চাই। ধানমন্ডি থানা পুলিশ বাসার ঠিকানায় পৌঁছালে বিবাদী বাসা হতে বের হয়ে যায়। আমি এমতাবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিবাদী আমাকে এবং আমার সন্তানদের যেকোনো সময় ক্ষতিসাধন করিতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন বিকাল সোয়া তিনটার দিকে ৯৯৯ এ ফোন করেন মুরাদের স্ত্রী। পুলিশের কনস্টেবল সমমর্যাদার একজন অপারেটর ফোন ধরেন। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী তাকে বলেন, ‘আমি ডা. জাহানারা। ধানমন্ডি এলাকা থেকে বলছি। আমার স্বামী ডা. মুরাদ হাসান এমপি মুরাদ।’
এসময় ‘আপনাকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারি’ জানতে চাইলে মুরাদের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কয়েকদিন ধরেই আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। কথায় কথায় আমাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছি আমি। আমাকে বাঁচান। ও বলেছে আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে ও আমার সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। আমার ওপর এখন হাত তুলতে চেয়েছিল। আমাকে আপনারা বাঁচান। আমাকে উদ্ধার করুন। প্লিজ পুলিশ পাঠান, এখনি পুলিশ পাঠান।
৯৯৯ থেকে কল পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ধানমন্ডী এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের ওই বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ বাসায় গিয়ে বিবাদী ডা. মুরাদ হাসান-কে পায়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।