বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শেরপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি’র জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি নজরুল, সম্পাদক হযরত নকলায় ফাহিম চৌধুরীর গণ সংযোগ ও পথসভায় জনতার ঢল নকলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের আহবান নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন’র মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ছাত্রনেতা জুবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে নকলায় কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা পানিফলে কয়েকগুণ লাভ, বানিজ্যিক ভাবে চাষে ঝুঁকছেন কৃষক নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন আর নেই নকলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন জোরদারে স্থানীয় পর্যায়ে করনীয় বিষয়ক সভা আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীর সাথে একমত পোষণ করে বিএনপি’র বিবৃতি

৪ ডিসেম্বর ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩০২ বার পঠিত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস ৪ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিনেই মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ঝিনাইগাতী অঞ্চলকে শক্রমুক্ত করে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার টেলিগ্রাম বার্তাটি পৌঁছায় ঝিনাইগাতী ভিএইচএফ ওয়ারলেস অফিসে। পরদিন স্থানীয় ছাত্রনেতা ফকির আব্দুল মান্নান বার্তাটি পৌঁছে দেন শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দের হাতে।

১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কাল রাতে যখন ঢাকার বুকে হত্যাযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী, সেই রাতেই ৩টা ৪৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঠানো স্বাধীনতার ঘোষণার টেলিগ্রাম মেসেজ ঝিনাইগাতী ভিএইচএফ ওয়্যারলেস অফিসে পৌঁছে। শুরু হয় প্রতিরোধ সংগ্রাম। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া পাতার ক্যাম্পে বাঙ্গালী যুবকদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প খোলা হয়।

প্রশিক্ষণ শেষে এসব মুক্তিযোদ্ধারা ও ইপিআর সৈনিকদের নিয়ে সুবেদার হাকিম মধুপুরে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। কিন্তু হানাদার বাহিনীর ভারী অস্ত্রের সামনে টিকতে না পেরে ২৬ এপ্রিল ভারতে আশ্রয় নেন তারা।

এরপর আবার ২৩ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে তাওয়াকুচা ক্যাম্পের পাক বাহিনীকে লক্ষ্য করে। আর এতে সফলতা পায় ও ক্যাম্প দখল করে নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। ৩ আগস্ট নকশী পাকিস্তানী ক্যাম্প আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। ওই সম্মুখ যুদ্ধে পাক বাহিনীর ৩৫ জন সদস্য নিহত হয়। ২৭ নভেম্বর কমান্ডার জাফর ইকবালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী বাজারের রাজাকার ক্যাম্প দখল করেন। ওই সময় ৮ রাইফেলসহ ৮ রাজাকারকে আটক করে তারা।

এভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর্যুপরি আক্রমণে হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে। অবশেষে কামালপুর দুর্গ পতনের আগাম সংবাদ পেয়ে ৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টায় ঝিনাইগাতীর শালচুড়া ক্যাম্পের পাকিস্তানী বাহিনী পিছু হটে। এরপর আহমদ নগর পাকিস্তানী হেডকোয়ার্টারের সৈনিকদের সঙ্গে নিয়ে রাতেই মোল্লাপাড়া ক্যাম্প গুটিয়ে শেরপুর শহরে আশ্রয় নেয়। আর এভাবেই বিনাযুদ্ধে ঝিনাইগাতী শক্রমুক্ত হয়। ৪ ডিসেম্বর ভোরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্ত ঝিনাইগাতীতে প্রবেশ করে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ায়।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102