দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে হোস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন ফিলিপাইনের মেয়ে জামিলা। সে আজ পর্যন্ত তাঁর জন্মদাতা বাবা জুলহাসকে দেখেনি। জামিলা যখন থেকে বুঝতে শিখেছেন, তখন থেকেই মায়ের মুখে শুধু তার বাবার নামটিই শুনে আসেছেন। আজব্দি তার বাবার সাথে বাস্তবে দেখা হয়নি। ফিলিপাইনের মেয়ে জামিলা যেমন আজ পর্যন্ত বাবা ডাকতে পারছেন না, হয়তোবা বাবা ডাক শুনছেন না তার জন্ম দাতা বাংলাদেশী বাবাও।
জানা গেছে, জামিলার মা জন্ম সূত্রে ফিলিপাইনের নাগরিক, বাবা বাংলাদেশী, আর জামিলার জন্ম ফিলিপাইনে হলেও চাকরির সুবাধে বর্তমানে থাকেন দুবাইয়ে। জামিলা তার মায়ের মুখে শুনা জন্ম দাতা বাবার নামের স্মৃতিকে ধারন করেই বাংলাদেশী জুলহাসকে খোঁজছেন ফিলিপাইনের এ মেয়ে।
জামিলার মা-বাবার বিয়ের আগে, তারা দুই জনেই কুয়েতের এক শেখের বাসায় চাকরি করতেন। সেখান থেকেই তাদের উভয়ের মধ্যে পরিচয় হয়। পরিচয়ের শেষ পরিনতি হয় বিয়ের মধ্যদিয়ে। ভালোই চলছিলো তাদের বৈবাহিক জীবন।
এরই মধ্যে গর্ভে সন্তান আসে। তাদের স্বামী-স্ত্রীর ছোট্ট পরিবার যেন ছিলো সুখের ভান্ডার; কিন্তু তাদের সুখের ঘরে হানা দেয় ভিসা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা। এ জটিলতার কারনে তারা উভয়েই চাকরি হারান। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে জুলহাসকে ফিরে আসতে হয় বাংলাদেশে এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে গর্ভাবস্থায় মাকে ফিরে যেতে হয় তার নিজের দেশ ফিলিপাইনে। আর ফিলিপাইনেই জন্ম হয় জামিলার।
এর পরে জামিলা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকেন, বুঝতে থাকেন বাবা-মায়ের আদর-সোহাগ। কিন্তু জন্মের আগেই তার বাবা বাংলাদেশে চলে আসায় বাবার আদর সোহাগ থেকে বঞ্চিত হয় জামিলা। বড় হয়ে লেখা পড়া শুরু করেন সেই জামিলা। পড়া লেখা শেষে জামিলা আজ দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে হোস্ট হিসেবে কর্মরত। এখন সে তার জন্ম দাতা বাংলাদেশী বাবাকে খোঁজে পেতে বাংলাদেশের সকল সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেছেন জামিলা। তার বিশ্বাস বাংলাদেশের সব পেশাশ্রেণীর মানুষ ও সংবাদ মাধ্যম গুলো তার এ আবেদনে সাড়া দিলে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকহারে প্রচার প্রসার করলে আজপর্যন্ত নাদেখা তার জন্মদাতা বাবাকে দেখার সুযোগ পাবেন।
বাবার স্মরনে ছোট কালের স্লেট বা বই খাতার মতো বুকের সঙ্গে বাবার নামের স্মৃতি চেপে ধরে দিনাতিপাত করা ছাড়া আর কিছুই নেই সেই জামিলার। তাই জামিলা তার জন্মদাতা বাংলাদেশী বাবাকে খোঁজে পেতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে নাদেখা বাবাকে খোঁজে পেতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে জন্ম দাতা বাংলাদেশী বাবাকে খোঁজে পাবেন বলে জামিলার শতভাগ বিশ্বাস।