বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
শেরপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি’র জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি নজরুল, সম্পাদক হযরত নকলায় ফাহিম চৌধুরীর গণ সংযোগ ও পথসভায় জনতার ঢল নকলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের আহবান নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন’র মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ছাত্রনেতা জুবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে নকলায় কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা পানিফলে কয়েকগুণ লাভ, বানিজ্যিক ভাবে চাষে ঝুঁকছেন কৃষক নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন আর নেই নকলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন জোরদারে স্থানীয় পর্যায়ে করনীয় বিষয়ক সভা আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীর সাথে একমত পোষণ করে বিএনপি’র বিবৃতি

অবশেষে কপির মালিক খোঁজে পাওয়া গেছে!

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪০৪ বার পঠিত

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় বাঁধা কপির দাম অস্বাভাবিক ভাবে কমে যাওয়ায় এ কপির হেলাফেলা লক্ষ করা গেছে। বাজারে কপি নিয়ে কৃষককে রীতিমতো বিপাকে পড়তে হচ্ছে। নকলার কপি চাষীদের এবার বেশ লোকসান গুণতে হচ্ছে।

১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নকলা সবজির বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁধা কপি স্তুপ আকারে রেখে বিক্রেতা (কৃষক) নিরুদ্দেশ! প্রায় ঘন্টা খানেক সময় অপেক্ষা করার পরে অবশেষে আব্দুল মালেক নামে এক মালিককে খোঁজে পাওয়া যায়। কপি চাষী মালেক পৌরসভার পূর্ব লাভা এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।

তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, সে বাজারে বাঁধা কপি এনে লজ্জায় পড়ে গেছেন। দাম একদম কম হওয়ায় অযত্নে অবহেলায় ফেলে রেখে অন্যান্য কেনাকাটা করতে চলে যান। তার সাথে দেখা করতে প্রায় ঘন্টা খানেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। অবশেষে তিনি মলিন চেহেরায় তার রেখে যাওয়া কপির কাছে ফিরে আসেন।

বাঁধা কপি চাষী মালেক জানান, এবছর কপি আবাদে কৃষকদের আসল ওঠবে না। বর্তমানে ৩ কেজি ওজনের প্রতিটি বাঁধা কপি ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর যে কপি গুলোর প্রতিটির ওজন ৪ কেজি থেকে ৫ কেজি সে গুলো বিক্রি হচ্ছে ৭ টাকা থেকে ১০ টাকা করে। এহিসেব মতে প্রতি কেজি বাঁধা কপি গড়ে ১ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে নকলার কপি চাষীদের এবার বেশ লোকসান গুণতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে কপি চাষী বুলু মিয়া, বাবুল মিয়া, অতু মিয়া, সুহেল মিয়া, জুয়েল মিয়া ও শাহাদৎসহ অনেক কৃষকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, কপি রোপন থেকে শুরু করে বাজার জাত করা পর্যন্ত প্রতিটি কপিতে নগদ ব্যয় হয়েছে ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা করে। আর কৃষকের নিজের পারিশ্রমিকতো আছেই। কৃষকের নিজের শ্রম মূল্য হিসেব করলে প্রতিটি কপিতে ১ টাকা থেকে ৩ টাকা করে তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, এবছর নকলা উপজেলায় কপির চাহিদার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি আবাদ হওয়ায় বর্তমান বাজারে দাম কিছুটা কম। তবে কপির দাম এতোটা কমেনি যে, কৃষকদের লোকসান গুণতে হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারে যেকোন কৃষি পণ্যের দাম কম থাকা মানে বুঝতে হবে যে, ওই পণ্যের উৎপাদন বেশি হয়েছে। তাই কপির কম দামকে তিনি ভালো দিক বলে মনে করছেন। কপির দাম কম থাকায় নিন্ম আয়ের পরিবার গুলো অল্প টাকায় অধিক পুষ্টি সম্পন্ন এ সবজি কিনতে পারছেন। যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কপি চাষীদের লাভ কম হচ্ছে বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102