শেরপুরের নকলা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল উদ্দিন-এঁর মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টার সময় নকলা ইউয়িনের শিববাড়ী ঈদগাহ মাঠে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে মরহুমের বিদেহী অত্মার প্রতি রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জানাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর আলম-এর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে ওই মাঠেই মরহুমের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর মরদেহ সমাহিত করা হয়।
এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ও বর্তমান কমান্ডারগন, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, পুলিশ বিভাগের সদস্য, বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, মরহুমের পরিবার পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর মুসলিম জনগন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের অফিস সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল উদ্দিন-এঁর লাল মুক্তিবার্তা তালিকা নম্বর ০১১৪০৩০৩২০, গেজেট তালিকা নম্বর ১১১৬। মৃত্যুকালে ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তাঁর মৃত্যুতে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ও নকলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর অনেকে আলাদাভাবে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল উদ্দিন উপজেলার ১নং গনপদ্দী ডিজিটাল ইউনিয়নের বন্দগজারিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ২নং নকলা ইউনিয়নের দক্ষিণ নকলা এলাকায় বাড়ী করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছিলেন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল উদ্দিন বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত সোয়া ১০ টার (১০:১৫ মিনিট) সময় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।