রাত পোহালেই শেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঈদ উদযাপন শুরু হবে। শেরপুর সদর উপজেলাসহ জেলার ৪টি উপজেলার অন্তত ৬-৭টি এলাকার জনগন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে দিনের মিল রেখে দীর্ঘদিন ধরে রোজা ও ঈদ উদযাপনসহ অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম করে আসছেন। জানা গেছে, যারা আগাম রোজা ও ঈদ উদযাপন করছেন তারা সবাই শুরেস্বরী পীরের অনুসারীরা।
যেসব এলাকার জনগন আগাম রোজা ও ঈদ উদযাপনসহ অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম করে আসছেন সেসব এলাকা গুলো হলো- শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর; নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনীপাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতি উপজেলার বনগাঁও চতল ও বামনেরচর।
এর অংশ হিসেবে, জেলার নকলা পৌরসভাধীন চরকৈয়া গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ গ্রামের ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর নামাজের আগাম জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এ জামায়াতে পর্দার আড়ালে প্রায় অর্ধশত নারীসহ দুই শতাধিক পুরুষ মুসল্লী অংশগ্রহণ করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। নামাজের ইমামতি করবেন মাওলানা মোহাম্মদ হীরা মানিক।
ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ হীরা মানিক জানান, তারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে দিনের মিল রেখে দীর্ঘদিন ধরে রোজা ও ঈদের জামায়াতসহ অন্যান্য ধর্মীয় কার্যক্রম সমূহ সম্পাদন করে আসছেন। ধর্মীয় ও সরকার বা রাষ্ট্রীয় আইনের বাহিরে কোন কাজ তারা করেন না বলেই, সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে তাদের ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। তিনি আরও জানান, প্রতি বছর দুই শতাধিক মুসল্লির সমন্বয়ে জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুরুষ জামায়াতের পাশাপাশি একই ঈগাহ মাঠে পর্দার আড়ালে মহিলাদের জামায়াতে অংশ গ্রহনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি বলে তিনি জানান।
বিভিন্ন তথ্য মতে জানা গেছে, শেরপুর জেলার ৬ থেকে ৭টি ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের আগাম জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। এসব জামায়াত সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯ টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো নামাজের পর পারস্পরিক কোলাকোলি শেষে একে অপরের বাসা-বাড়িতে প্রীতিভোজে অংশ গ্রহন করবেন।