বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শেরপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি’র জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি নজরুল, সম্পাদক হযরত নকলায় ফাহিম চৌধুরীর গণ সংযোগ ও পথসভায় জনতার ঢল নকলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের আহবান নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন’র মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ছাত্রনেতা জুবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে নকলায় কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা পানিফলে কয়েকগুণ লাভ, বানিজ্যিক ভাবে চাষে ঝুঁকছেন কৃষক নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন আর নেই নকলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন জোরদারে স্থানীয় পর্যায়ে করনীয় বিষয়ক সভা আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীর সাথে একমত পোষণ করে বিএনপি’র বিবৃতি

সাংবাদিক বজলুর রহমান’র নামে রাস্তার নামকরণ চাই

রিপোর্টারঃ
  • প্রকাশের সময় | শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৩৭ বার পঠিত

মানুষ তার নিজের কর্মের গুণে অমর হয়ে থাকেন। আর ওইসব অমর ব্যক্তির কর্মকে যুগযুগ ধরে জীয়ে রাখার দায়িত্ব সকলের। এমন একজন অমর ব্যক্তি হলেন শেরপুরের নকলা উপজেলার কৃতিসন্তান দেশবরেণ্য সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান। তার কৃতকর্মকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অমর রাখতে তাঁর নামে বিভিন্ন রাস্তা, ব্রীজ এবং বিভিন্ন স্থান ও স্থাপনার নামকরণ করা হলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সাংবাদিক বজলুর রহমান সম্পর্কে জানতে পারবে এবং জানার আগ্রহী হবে। ফলে যুগ যুগ ধরে দেশবরেণ্য সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান সকলের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন। নাম করণের মাধ্যমেই নতুন প্রজন্মদের মাঝে বজলুর রহমান-এঁর আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে ও তাঁর সম্পর্কে বর্ণনা করতে সহজ হবে। পাশাপাশি নাম করনের নাম ফলক দেখে নতুন প্রজন্মরা প্রশ্নের মাধ্যমে বড়দের কাছথেকে বজলুর রহমান সম্পর্কে জেনেনিবে এবং আগ্রহী হবে এটা একদমই স্বাভাবিক। ফলে দেশবরেণ্য সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান-এঁর আদর্শকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সহজে তুলে ধরতে সকলের জন্য অধিকতর সহজ হবে বলে সুশীলজন মনে করেন। এসব বিবেচনায় ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের গনপদ্দী বাজার থেকে বানেশ্বরদী-মোজার-বাউসা হয়ে রামপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির ‘সাংবাদিক বজলুর রহমান সড়ক’ নামে নামকরণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানাচ্ছি। এতেকরে বজলুর রহমানকে যুগযুগ ধরে অমর রাখার পাশাপাশি পথচারীদের রাস্তা চিনতেও সহজ হবে বলে অনেকে মনে করছেন। তারা কারন হিসেবে জানান, ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের গনপদ্দী বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে দুটি রাস্তা গেছে। একটি ভূরদী হয়ে শেরপুর ও রৌহা পর্যন্ত অন্যটি বানেশ্বরদী-মোজার-বাউসা হয়ে রামপুর বাজার পর্যন্ত। রাস্তার নাম না থাকায় অনেক সময় এক রাস্তার পথচারীরা ভুল করে অন্য রাস্তা দিয়ে ভুল জায়গায় চলে গিয়ে হয়রানিতে পড়েন। তাতে সময় ও পরিশ্রম উভয়ই বেশি লাগে। তাই দুটি রাস্তার মধ্যে বানেশ্বরদী-মোজার-বাউসা হয়ে রামপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির নামকরণ সাংবাদিক বজলুর রহমানের নামে হলে পথচারীদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই গনপদ্দী বাজার থেকে বানেশ্বরদী-মোজার-বাউসা হয়ে রামপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির নামকরণসহ নকলার বিভিন্ন রাস্তা, ব্রীজ এবং বিভিন্ন স্থান ও স্থাপনার নামকরণ ‘সাংবাদিক বজলুর রহমান সড়ক’ নামে করা এখন সময়ের দাবী। তাছাড়া নকলায় ৫০০ আসন বিশিষ্ট নির্মাণাধীন অডিটোরিয়ামের নামকরণ সাংবাদিক বজলুর রহমান-এঁর নামে নামকরণ করা যায় কি-না এ বিষয়েও অধিক গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখার জন্য স্থানীয় সরকারের নীতি নির্ধারকসহ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

উল্লেখ্য, বজলুর রহমান ১৯৪১ সালের ৩ আগষ্ট তারিখে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার চরনিয়ামত গ্রামের আব্দুর রহমান মৌলভীর ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন। দেশবরেণ্য সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, দৈনিক সংবাদ সম্পাদক বজলুর রহমান-এঁর জন্ম ফুলপুর উপজেলায় হলেও তাঁর বেড়েউঠা শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বানেশ্বরদী ইউনিয়নের বানেশ্বরদী গ্রামে। বজলুর রহমান ফুলপুর উপজেলার স্থানীয় এক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পাশ করার পরে শেরপুরের নকলা উপজেলার গণপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্টিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উর্ত্তীণ হন। পরে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজে ও বরিশালের বজ্রমহন কলেজে পড়া লেখা করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বজলুর রহমান সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করার পরে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সভাপতি ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে কচি কাচাদের শিশু সংগঠন খেলা ঘর নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলেন। তার অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশের অন্তত ৩০টি জেলায় ‘খেলা ঘর আসর’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বজলুর রহমান ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর ৫৮ সালের শিক্ষা আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। অত:পর পর্য়ায়ক্রমে ৬২’র সংবিধান, ৬৬’র ৬দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুথান, ৭০’র সাধারণ নির্বাচন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ এসকল আন্দোলনে ও দিবস গুলিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তাছাড়া প্রথিতযশা সাংবাদিক বজলুর রহমান তাঁর লেখায় সংবাদ পত্রিকার মাধ্যমে দেশ বিরোধীর বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি ছিলেন সংবাদের এক সাহসী কলম সৈনিক। বজলুর রহমান মুক্তিযোদ্ধের পক্ষে লেখালেখি করে পরামর্শ মূলক লেখনীর মাধ্যমে তা তুলে ধরেছেন। নরসিংন্দী জেলার ব্যারিস্টার আহমেদুল কবিরের দৈনিক সংবাদে দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন। ৯৬’র পরে নিজে সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। তার লেখনীর ক্ষুরধারা মুক্তিযোদ্ধকে বেগবান করেছিলো, তাতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলো হাজারো মুক্তিকামী জনগন। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখা বজলুর রহমান ২০০৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী রাত সাতটার সময় পুরান ঢাকার অরলেস গেইটে সাবেক কৃষি মন্ত্রী, জাতীয় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী’র সরকারি বাসভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানী ঢাকার কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানের বিশেষ কেবিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ ফেব্রুয়ারীতে তিরি মৃত্যু বরণ করেন।

–মো. মোশারফ হোসাইন
সভাপতি
নকলা প্রেস ক্লাব
শেরপুর।

সাংগঠনিক সম্পাদক
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ
নকলা উপজেলা শাখা
শেরপুর।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102