বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শেরপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি’র জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি নজরুল, সম্পাদক হযরত নকলায় ফাহিম চৌধুরীর গণ সংযোগ ও পথসভায় জনতার ঢল নকলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের আহবান নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন’র মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ছাত্রনেতা জুবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে নকলায় কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা পানিফলে কয়েকগুণ লাভ, বানিজ্যিক ভাবে চাষে ঝুঁকছেন কৃষক নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন আর নেই নকলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন জোরদারে স্থানীয় পর্যায়ে করনীয় বিষয়ক সভা আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীর সাথে একমত পোষণ করে বিএনপি’র বিবৃতি

পানিতে ডুবে মৃত্যু : ২০২২ সালে ৯ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার ৮% বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় | মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩
  • ২২৯ বার পঠিত

দেশে ২০২২ সালে পানিতে ডুবে নয় বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার বেড়েছে। এ সময় পানিতে ডুবে মৃতদের মধ্যে ৮১ শতাংশের বয়স ছিল নয় বছরের কম। আগের বছরের তুলনায় এ হার ৮ শতাংশ বেশি। হতভাগ্য এসব শিশুদের ৬১ শতাংশ তাদের চতুর্থ জন্ম দিনের আগেই মারা গেছে।

গত ১২ মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত পানিতে ডুবে ১ হাজার ১৩০টি মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে ২০২০ ও ২০২১ সালে নয় বছর বয়সীদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার ছিল যথাক্রমে ৬৫% ও ৭৩%। এ দু’বছরে যথাক্রমে ৮০৭ ও ১ হাজার ৩৪৭ টি মৃত্যুর খবর সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টি জাতীয়ও স্থানীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম এবং নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত পানিতে ডুবে মৃত্যুর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পায়।

কোথায় কত মৃত্যু :
প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ২৮২ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এছাড়া রংপুর বিভাগে ১৬০, ঢাকায় ১৪৯ জন, বরিশালে ১৩১ জন, রাজশাহীতে ১১০ জন, ময়মনসিংহে ১০৪ জন, খুলনা বিভাগে ১০৩ জন ও সিলেট বিভাগে ৯১ জন মারা যায়।

গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুসারে চট্টগ্রাম জেলায় গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়, ৭৩ জন। পরবর্তী স্থান গুলোতে রয়েছে পঞ্চগড়, নেত্রকোণা, চাঁদপুর, কক্সবাজার ও পটুয়াখালী জেলা। এসব জেলায় যথাক্রমে ৪৭, ৪৭, ৪৬, ৪১ ও ৩৬ জন মারা যায়।

বয়স :
২০২২ সালে পানিতে ডুবে মৃতদের ৯৪ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এদের মধ্যে চার বছর বা কম বয়সী ৫৫৬ জন, ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী ৩৬৩ জন, ১০-১৪ বছরের ১০২ জন এবং ১৫-১৮ বছরের ৪৩ জন। ৬৬ জনের বয়স ছিল ১৮ বছরের বেশি।

জেন্ডার :
পানিতে ডুবে নিহতদের মধ্যে ৪১২ জন নারী। এদের মধ্যে কন্যা শিশু ৪০০ জন। পুরুষ মারা যায় ৭০৮ জন, যাদের মধ্যে ৬৬৪ জন শিশু। প্রকাশিত সংবাদ থেকে ১০ জনের লৈঙ্গিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দিনের কখন পানিতে ডুবছে :
দিনের প্রথম ভাগে অর্থাৎ সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ৩৫৫ জন এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যার আগে ৬৮৬ জন মারা যায়। এছাড়া সন্ধ্যায় ৭০ জন মারা যায়। ১৯ জন রাতের বেলায় পানিতে ডোবে।

কোন মাসে বেশি মৃত্যু :
গত এক বছরের হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে আগস্ট মাসে। এ মাসে ১৬২ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। এছাড়া জুন মাসে ১৪৩ জন এবং মে ও সেপ্টেম্বর মাসে ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

কারণ :
মৃতদের মধ্যে ৯৯০ জন কোনো না কোনো ভাবে পানির সংস্পর্শে এসে ডুবে যায়। ১৪০ জন মারা যায় নৌযান দুর্ঘটনায়। পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নজরাদারি না থাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পানিতে ডোবার ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ শিশু বড়দের অগোচরে বাড়ি সংলগ্ন পুকুর বা অন্য জলাশয়ে চলে যায় এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়।

এ সময়ে ৪৯ টি পরিবারের ৯৮ জন সদস্য পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের মধ্যে জমজ শিশু ছিলো ১৪ জন। এছাড়া শিশুর সঙ্গে ভাই অথবা বোনসহ ৪২ জন, চাচাতো, মামাতো বা খালাতো ভাই বা বোনসহ ৪২ জন মারা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102