দেশে সব টেলিকম কোম্পানির কমবেশি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী আছেন। তারা কথা বলার জন্য তাদের কষ্টার্জিত টাকায় মিনিট (প্যাকেজ) ও ইন্টারনেট ডেটা (এবি) কিনেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর সেই ডেটা বা মিনিট ব্যবহার করা যায় না। নতুন করে রিচার্জ না করলে আগের ব্যালান্স অকার্যকর হয়ে যায়! স্পষ্টতই এসব ডেটা বা মিনিট সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ফিরিয়ে নেয়। এতে গ্রাহকরা প্রতারিত বোধ করেন। নিজের টাকায় কেনা ডেটা ও মিনিট গ্রাহকের যখন খুশি, যতদিন খুশি, ততদিন ব্যবহার করবেন; তাতে হস্তক্ষেপ কেন? সময় কেন বেঁধে দেওয়া হয়? প্রযুক্তিগতভাবে এসব ডেটা বা মিনিট সংরক্ষণে কোনো বাধা নেই। তবুও কৃত্রিমভাবে মেয়াদ বেঁধে দিয়ে গ্রাহকদের কৌশলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায্য ও অনৈতিক। এমনকি ভোক্তা অধিকার আইনের পরিপন্থী।
তথ্য মতে, দেশে বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানির প্রায় ১৯ কোটি মোবাইল সিম সক্রিয় আছে। মিনিট ও ডেটার মেয়াদ বেঁধে দেওয়ার কারনে এসব সিম থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫ মিনিট করে কেটে নিলে ৯৫ কোটি মিনিট এবং প্রতিদিন ৫জিবি করে ডেটা মেয়াদোত্তীর্ণ করা হলে গড়ে ৯৫ কোটি জিবি ডেটা একপ্রকার প্রতারনার মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে! এটা মোবাইল সিম ব্যবহারকারীদের সাথে আর্থিক প্রতারনার সামিল। এ প্রতারনা বন্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে সবাই মনে করছেন। মেয়াদহীন যোগ্য মিনিট বা ডেটা যেন সীমাহীনভাবে ব্যবহারযোগ্য থাকে এটাই গ্রাহকের দাবি। তাই বিটিআরসি’র কাছে অনুরোধ, ডেটা বা মিনিটে কৃত্রিম মেয়াদ নির্ধারণ বন্ধে বা নাগরিকের নিজস্ব সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন; যেন গ্রাহকরা নিজের টাকায় কেনা মিনিট (প্যাকেজ) ও ইন্টারনেট ডেটা (এবি) মেয়াদহীন সুবিধা ভোগ করতে পারেন। নাগরিকের নিজস্ব সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
-মো. মোশারফ হোসাইন
নকলা, শেরপুর।