সারা দেশের সকল এমপিও ভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনরত শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিবৃতি দিয়েছে। ১৮ অক্টোবর (শনিবার) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বিবৃতি দেন। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সহ-দফতর সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. তাইফুল ইসলাম টিপু-এর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সাথে নীতিগতভাবে একমত।
সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য আমাদের অগ্রাধিকার হলো- যুক্তিসঙ্গত আর্থিক সুবিধার নিশ্চয়তাসহ চাকরির নিরাপত্তা, শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সামাজিক মর্যাদা, তাঁদের অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।
কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্র ও রাজনীতির সংস্কার কিংবা নাগরিক উন্নয়নে আমরা যত উদ্যোগই গ্রহণ করিনা কেন শিক্ষা ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং শিক্ষকদের আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করা না গেলে কখনোই কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাবে না।
জনগণের ভোটে বিএনপি আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বৃদ্ধি, চাকুরী স্থায়ীকরণ এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার বিষয়ে বিএনপির কোন দ্বিমত নেই।
তবে শিক্ষকদের যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে পুঁজি করে পতিত স্বৈরাচারের সহযোগীরা পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালালে সেটি প্রতিহত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কোন নমনীয়তা প্রদর্শন করবে না।”
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ফেসবুক অফিসিয়াল পেইজে আপলোড করার পরেই শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ ফেসবুকে টাইম লাইনে পোস্ট করার মাধ্যমে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এঁর বরাতদিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক কর্মচারীদের ন্যায্য দাবির সাথে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করছেন।
বিশেষ করে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের বিএনপি হতে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর পুত্র ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী’র কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি পোস্ট করার যেন হিড়িক পড়ে গেছে।