শেরপুরের নকলা উপজেলার ৯নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে মাহে রমজানের তাৎপর্য ও শিক্ষা শীর্ষক আলোচনা সভা, ইফতার মাহফিল ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে চন্দ্রকোনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন শাখার আমীর মাওলানা খাদিম হোসাইন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী শেরপুর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগীয় সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সকল ক্ষেত্রে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা গেলে সুন্দর রাষ্ট্র বিনির্মাণে করা যাবে। সৎ নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার (সদস্য) থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সকল জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সৎ ও নির্লোভ লোক নির্বাচন করা এখন সময়ের দাবী। সৎ নেতৃত্বের পাশে আপনাদের দাঁড়াতে হবে। যোগ্য নেতৃত্ব ঠিক করতে পারলেই দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব। আর বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী এই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।’
ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারি এরশাদ আলী’র সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়তের সূরা সদস্য ও নকলা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা গোলাম সারোয়ার। তিনি বলেন, ‘ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তবেই সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তন করা সম্ভব। ‘তাকওয়া অর্জন করার মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। রাষ্ট্র ও ইসলামের জন্য সবাইকে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। প্রয়োজনে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে আদর্শিক ইনসাব ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেখানে যা করার দরকার তাই করতে হবে।’ এরজন্য মুসলিম উম্মাহর পাশাপাশি জাতি-ধর্ম-বর্ণের উর্ধ্বে এসে সকলকে একযোগে ভ‚মিকা রাখার আহবান জানান তিনি।
এসময় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক লুৎফর রহমান ফিরোজ, পাটাকাটা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আতিক আলম, জামায়ত নেতা আমিনুর রসুলসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নকলা উপজেলা শাখা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন শাখার দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, নেতা-কর্মী ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার পরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় উপস্থিত সকলকে সাথে নিয়ে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। সবশেষে উপস্থিত সকল রোজাদার এক জায়গায় বসে ইফতার গ্রহন করেন।