প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অনেক সিদ্ধান্ত ঢাকা থেকে দেওয়া হয়। সেটা কীভাবে জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন হয় তা জানা যায় না। যেমন- আমরা আইন করে দিয়েছি, এখন থেকে পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। এটা এখনো গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছায়নি। এই কথা গ্রামে পৌঁছাতে হবে। এগুলোতে মানুষকে বিনা কারণে হয়রানি করা হয়। হয়রানি করা যেন আমাদের ধর্ম। সরকার মানেই হয়রানি করা, এটাকে উল্টে ফেলতে হবে। পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে কেন? এটা তো সবার নাগরিক অধিকার। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে ৩ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জন্মনিবন্ধন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনের কোন মা-বাবা আছে বলে মনে হয় না। নিয়ম আছে কিন্তু কোন মা-বাবা নাই। মধ্য বয়সে কিংবা শেষ বয়সে কোথাও যাওয়া দরকার, পাসপোর্ট করা লাগবে, এজন্য জন্মনিবন্ধন লাগবে। সেই আমলে কে জন্মনিবন্ধন করতো জানা নেই। কিন্তু পাওয়া যায়, পয়সা দিলে ঠিকই চলে আসে। পয়সা দিলে যখন আসে, না দিলেও আসার কথা। এই সিস্টেম আমরা করতে পারছি না কেন, এটা তো আসলে নাগরিকদের অবশ্য প্রাপ্য। সরকার ব্যবস্থা করতে পারে নাই বলে অজুহাত দিলে তো চলবে না। নিশ্চয় ব্যবস্থা আছে। কাজেই আমাদের সেই ব্যবস্থা করতে হবে। জন্মসনদ যে যেই বয়সেই চায় তাকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদশে জন্ম নেওয়ার দলিল জন্মসনদ। সেটা না হলে এনআইডি পাওয়া যাচ্ছে না, এনআইডি না হলে পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। রাতারাতি করে ফেলার আশাও আমি করছি না। শুরুতো করতে হবে।’
এছাড়া, প্রাথমিক শিক্ষায় করণীয় নিয়েও জেলা প্রশাসকদের কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন আইএ/১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫