স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে ২৩ খুদেনারী ফুটবলারের মাঝে একটি করে বাইসাইকেল উপহার দেওয়ার পাশাপাশি ৫০ জন শিশু শিক্ষার্থীর মাঝে একটি করে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর ফুটবল একাডেমির কোচসহ খুদে নারী ফুটবলারদের হাতে এসব উপহার তুলে দেওয়াহয়।
এ উপলক্ষে কলসিন্দুর স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজ সেবক রাজিয়া সামাদ ডালিয়া-এঁর সভাপতিত্বে বাইসাইকেল ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিবিসি নিউজ ও ভয়েস অফ আমেরিকার সাবেক সংবাদ পাঠক প্রবাসী বাংলাদেশী শামীম চৌধুরী।
রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. আল আমিন রাজু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ফর ফুটবল শেরপুর’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাধন বসাক, সমাজকর্মী রুকসানা মিনু ও ডা. অনুপম বসাক তিলক প্রমুখ।
রাজিয়া সামাদ ডালিয়া বক্তব্যে বলেন, ‘কলসিন্দুর ফুটবল একাডেমির মেয়েরা বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতে ইতিহাস সৃষ্টি করতে অন্যতম ভূমিকা রাখছে। তাদের ক্রীড়া নৈপূণ্যের কারনেই নারী সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশের নারীরা টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করেছে। এখানকার মেয়েরা একের পর এক দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। এটা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য গৌরবের। আমরা আজ গর্বের সহিত ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচয় দেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি শুনেছি তারা নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও হাল ছাড়েনি। তারা ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে দূর থেকে হেঁটে আসে। তাদের পরিবহণ, খেলার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও পুষ্টিকর খাবারের অভাবসহ বিভিন্ন সমস্যার মধ্যদিয়ে তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের নৈতিক দায়িত্ব গুলোর মধ্যে তাদের পাশে দাঁড়ানো একটি বলে আমি মনে করছি। খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এই দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা সামর্থ অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি মাত্র। তাদের জন্য এই সামন্য কিছু করতে পেরে আমরা রক্তসৈনিক পরিবার গর্বিত। তাদের যাতায়াতের জন্য উপহার দেওয়া এই বাইসাইকেল গুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।’
এসময় কলসিন্দুর ফুটবল একাডেমির সভাপতি প্রভাষক মালা রানী সরকার, কোচ জুয়েল মিয়া, রক্তসৈনিক সদস্য শহীদুল ইসলাম ও জিহাদ মিয়াসহ কলসিন্দুর স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।