শেরপুরের নকলা উপজেলার ৮নং চরঅষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নতুন কার্যকরী কমিটি থেকে নতুন করে আরো ৪ নেতা পদত্যাগ করেছেন। দ্বিতীয় দফায় পদত্যাগ করা নেতৃবৃন্দরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আহজারুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মাস্টার, সদস্য মো. মঞ্জুরুল হক নাদিরা ও মো. নূরুল ইসলাম।
নতুন পদত্যাগ করা এই চারজনসহ চরঅষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নবগঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থেকে মোট ৩৯ জন নেতা নিজ নিজ পদ-পদবী থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন।
বুধবার দুপুরের দিকে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির ৩৯ জনের স্বাক্ষরিত পদত্যাগ সংশ্লিষ্ট লিখিত এক বিজ্ঞপ্তি মারফত এই তথ্য সাংবাদিকদের জানানো হয়। বিতর্কিত লোকের সমন্বয়ে নতুন করা হয়েছে; এমন অভিযোগ তুলে নবগঠিত কার্যকরী কমিটির প্রকৃত আওয়ামী লীগ তথা ৩৯ জন ত্যাগী নেতা-কর্মী ঘোষিত কমিটির স্ব স্ব পদ-পদবী থেকে পদত্যাগ করলেন বলে পদত্যাগ করা নেতৃবৃন্দ জানান।
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেলে ৮নং চরঅষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটি বিতর্কিত লোকের সমন্বয়ে করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে লিখিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির মধ্যে ৩৫ জন ত্যাগী নেতা-কর্মী নতুন ঘোষিত কমিটির স্ব স্ব পদ-পদবী থেকে পদত্যাগ করেন এবং মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী। যা সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে লিখিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির ৩৫ জনের স্বাক্ষরিত পদত্যাগ সংশ্লিষ্ট এক বিজ্ঞপ্তি মারফত এই তথ্য জানানো হয়।
প্রথম ধাপে পদত্যাগ করা নেতারা হলেন, ৪ জন সহ-সভাপতি, ১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৪ জন সদস্য হতে ১৪ জন সদস্যসহ বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদ হতে আরো অন্তত ১৫ জন নেতা।
আওয়ামী লীগের দলীয় বা যে কোন সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ ও সদস্য পদত্যাগ করলে সংগঠনের কার্যকরিতা থাকার কথা নয়; জনমনে এমন প্রশ্ন উঠেছে। যেহেতু ৮নং চরঅষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কার্যকরী কমিটির মধ্যে ৩৯ জন নেতৃবৃন্দ ও সদস্য পদত্যাগ করেছেন, সেহেতু স্বভাবিক কারনেই এই কমিটি অকার্যকর হয়েগেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।