শেরপুরের নকলা উপজেলার গনপদ্দী ডিজিটাল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গনপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদসহ ছয় (৬ টি) পদের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১৮ জুন) বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
নিয়োগের সুপারিশ প্রাপ্তরা হলেন- শূণ্যপদে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, নবসৃষ্ট শূণ্যপদে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা রুমি, অফিস সহায়ক মো. শফিকুল ইসলাম, পরিচ্ছন্নতা কর্মী মো. সাঈম মিয়া, আয়া জোনাকী আক্তার ও শূণ্যপদে নৈশ প্রহরী মো. টুটুল মিয়া।
জানা গেছে, সকল পদের জন্য আলাদা মানের প্রশ্নে ৩০ নম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার মূল্যায়নের পরে বিকেল থেকে একাডেমীক সনদপত্র প্রদর্শন ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহন শেষে প্রার্থীদের প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে রাতে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সবশেষে শূণ্যপদে ও নবসৃষ্ট শূণ্যপদ সমূহে চূড়ান্ত নিয়োগ সম্পন্ন করতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করেন নিয়োগ বোর্ড।
এমপিও ভূক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধি মোতাবেক নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গনপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয় ও বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম।
এছাড়া ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্যদের মধ্যে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাদিরা বেগম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, ডিজি প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম ও একজন শিক্ষানুরাগী সদস্য তানিম আহমেদ।
নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্তরাসহ অনেকে বলেন, দেশের প্রতিটি এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি গনপদ্দী উচ্চ বিদ্যালয় ও বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার মতো শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হতো, তাহলে কোনপ্রকার তদবির ছাড়াই অপেক্ষাকৃত অধিক যোগ্যতা সম্পন্নরা নিয়োগ পেতেন। ফলে শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীরা মনোনিবেশন করতেন। তাতে পাঠদান ও গ্রহনের আনন্দগন পরিবেশ সৃষ্টি হতো বলে শিক্ষিত সমাজের সবাই মনে করেন।
৬টি পদের বৃহৎ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কঠোর শ্রম ও মেধা খাটিয়ে দিনব্যাপী মূল্যবান সময় ব্যয় করায় নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ নিয়োগ বোর্ডের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীসহ বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই।