শেরপুরের নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার নতুন সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ মে) মাদ্রাসার অফিসে এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
বানেশ্বর্দী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মো. ফজলুল করিমসহ সদর উপজেলার অন্য আরো ২ জন এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। দুপুরের দিকে ৩০ নম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে একাডেমীক সনদপত্র প্রদর্শন (১২ নম্বর) ও ৮ নম্বরের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহন করা হয়। এতে মো. ফজলুল করিম সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় বানেশ্বর্দী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট’র শূণ্য পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ প্রাপ্ত হন।
এমপিও ভুক্ত দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ বিধি মোতাবেক নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বানেশ্বর্দী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম। এছাড়া নিয়োগ বিধি অনুযায়ী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন এ মাদ্রাসার সুপার মো. শহিদুল ইসলাম। ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, শিক্ষানুরাগী সদস্য মো. মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত ও একজন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি ছিলেন।
সুপারিশ প্রাপ্ত সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. ফজলুল করিম বলেন, দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রকৃয়া যদি বানেশ্বর্দী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার মতো শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হতো, তাহলে শিক্ষকতা পেশায় অধিক মেধাবীরা মনোনিবেশন করতেন। প্রতিষ্ঠানের সুমান রক্ষায় সহকারী শিক্ষকদের আনন্দগন পরিবেশে পাঠদানে মনোনিবেশনের ক্ষেত্রে তিনি বদ্ধ পরিকর বলে জানান।
এবিষয়ে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি বানেশ্বর্দী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম জানান, একজন আদর্শ ও ভালো মানের শিক্ষকই পারেন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষায় প্রশাসনিক প্রধান এবং একাডেমীক প্রধানের গুরুত্ব বেশি। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের দ্বারা ভালো ফলাফল অর্জনের বিষয়ে সহকারী শিক্ষকদের পাঠদানের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলেও তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেকোন সুনাম বা অর্জন সম্পূর্ণ টিম ওয়ার্কের বিষয়। তাই ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকের মধ্যে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে মাদ্রাসার সুনাম অব্যাহত রাখার আহবান জানান তিনি।