শেরপুর জেলার নকলায় ‘আসাদ ডিজিটাল প্রিন্টার্স’ নামে আধুনিক প্রিন্টের একটি অত্যাধুনিক প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়েছে। নকলা উপজেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র উত্তর বাজারস্থ নালিতাবাড়ী মোড়ে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের পূর্ব পাশে হাকিম মার্কেটে আধুনিক এ প্রিন্ট প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে দোয়া, মিলাদ ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দোয়া ও মিলাদ শেষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ, নকলা প্র্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন এলাকার সেবা গ্রহীতা, বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার খতিব, ইমাম, মোহতামিম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী; স্থানীয় ব্যবসায়ী, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন বয়স ও পেশা-শ্রেণীর জনগন উপস্থিত ছিলেন।
এ উদ্বোধন অনুষ্ঠান, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী আসাদুল হক এবং মালিক পক্ষের আরেফিন আহম্মেদ সরকার রাফি, আব্দুর রহিম মোস্তফা, শোয়েব মাহমুদ রিশাদ, অনিক কুমার রায় জয় ও মো. সোহাগ মিয়া।
জানা গেছে, আসাদ ডিজিটাল প্রিন্টার্সে ডিজিটাল ব্যানার প্রিন্ট, পিভিসি প্রিন্ট, গ্লাস ও মগসহ এজাতীয় বিভিন্ন পণ্যে স্টিকার প্রিন্ট; গেঞ্জি/টি-শার্টে প্রিন্ট; ক্যাশ মেমো, লিফলেট ও পোস্টার প্রিন্ট; মনের মতকরে ডিজিটাল সাইনবোর্ড, ভিজিটিং কার্ড, বিয়ের কার্ড, হালখাতার কার্ড ও সুন্নতে খাৎনার কার্ডসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র ও কার্ড তৈরি করার অর্ডার নেওয়া হয়।
আসাদ ডিজিটাল প্রিন্টার্সের মালিকগন বলেন, নকলার অনেকের স্বাদ ও সাধ্য থাকা স্বত্ত্বেও আমাদের আগে কেউ সকবার প্রিয় নকলায় আধুনিক ও ডিজিটাল প্রিন্টার্স মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়নি। তাই আগে নকলার মানুষদের ভালো ও মনেরমতো ডিজিটাল ব্যানার, পিভিসি প্রিন্ট, গ্লাস ও মগসহ বিভিন্ন পণ্যে স্টিকার প্রিন্ট; গেঞ্জি/টি-শার্টে প্রিন্ট; ক্যাশ মেমো, লিফলেট ও পোস্টার প্রিন্ট; ডিজিটাল সাইনবোর্ড, ভিজিটিং কার্ড, বিয়ের কার্ড, হালখাতার কার্ড ও সুন্নতে খাৎনার কার্ডসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র ও কার্ড তৈরি করার জন্য শেরপুর বা ময়মনসিংহ যেতে হতো। যা ছিলো আমাদের জন্য একপ্রকার লজ্জার বিষয়। তাই আস্থা ও ভালোবাসার স্থান হিসেবে আমরা সবার প্রিয় নকলায় একটি ডিজিটাল প্রিন্টার্স মেশিন স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলাম। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ তা বাস্তবায়ন হলো।
আজ থেকে সেবা গ্রহীতাদের মনেরমতো ডিজিটাল প্রিন্ট পেতে আর ময়মনসিংহ, শেরপুরে দৌঁড়াতে হবে না। এতে করে একদিকে সেবা গ্রহীতাদের সময় বাঁচবে, তাছাড়া দূরের যাতায়াতে সড়ক দূর্ঘটনার চিন্তাতো ছিলোই; অন্যদিকে বাড়তি মূল্য দেওয়া থেকেও নিরাপদ হলেন নকলাবাসীরা। অভিজ্ঞ ডিজাইনার ও মেশিন চালক দ্বারা নকলা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলাতেও প্রিন্টিং কাজের যাবতীয় সেবার মাধ্যমে সকলের মন জয় করতে পারবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নকলায় প্রথম বারেরমতো স্থাপিত আসাদ ডিজিটাল প্রিন্টার্সের মালিকগন।