শেরপুরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর আক্রান্ত নেই। রবিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫:১০ মিনিটে জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ এর আক্রান্ত সংখ্যা শূণ্য।
সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টা চার্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৪ ঘন্টায় শেরপুর সদর উপজেলাসহ নকলা, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)’র আর.টি-পি.সি.আর নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত সংখ্যা শূণ্য ও রেপিড এন্টিজেন টেস্ট (আরএটি) পরীক্ষাতেও আক্রান্ত সংখ্যা শূণ্য। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০টি। এরমধ্যে আর.টি-পি.সি.আর ৩টি এবং আরএটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭টি। এর নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে কারও শরীরে কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়নি।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬২৪জন যা, শতকরা ১৬.২৮ ভাগ। এতে সুস্থ হয়েছে ৫ হাজার ৫২২ জন, যা শতকরা ৯৮.১৮ ভাগ। তবে বর্তমানে আক্রান্ত রোগী আছে ৭ জন। এরমধ্যে কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিচ্ছেননা, সবাই হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টা চার্য। তিনি আরও জানান, সদর হাসপাতালে কোভিড-১৯’র আক্রান্ত চিকিৎসা প্রাপ্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৫২০ জন।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্ত হয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের, যা শতকরা ১.৬৯ ভাগ। মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে: ৩৪ হাজার ৫৪৯ টি। এরমধ্যে আর.টি-পি.সি.আর-এ ১৯ হাজার ২৭৩ টি এবং রেপিড এন্টিজেন টেস্ট-এ ১৫ হাজার ২৭৬ টি। মোট রিপোর্ট প্রাপ্তি ৩৪ হাজার ৫৩৮টি। এরমধ্যে আর.টি-পি.সি.আর ১৯ হাজার ২৬২ টি এবং রেপিড এন্টিজেন টেস্ট ১৫ হাজার ২৭৬ টি। আর রিপোর্ট হয়নি (আর.টি-পি.সি.আর) ১১ টি।
গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা: ১ম ডোজ ২ হাজার ২৩২ টি, ২য় ডোজ ১ হাজার ১০ টি ও বুস্টার ডোজ ১ হাজার ৮৬ টি। এপর্যন্ত মোট কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা: ১ম ডোজ ১১ লাখ ১৮ হাজার ৩৩১ টি, ২য় ডোজ ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৬০৮ টি এবং বুস্টার ডোজ গ্রহন করেছেন ২৭ হাজার ৬৮৯ জন।