শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী তাড়ানি এলাকায় ক্ষতিপূরণ ছাড়াই একপ্রকার জোরপূর্বক ভাবে খালকাটার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নাগরিক সমাজের জেলার স্থানীয় প্রতিনিধিগন।
সোমবার নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ শেরপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন তারা।
পরিদর্শকগন বলেন, কোন প্রকার অনুমোদিত নকশা, বাজেট ও পরিকল্পনা ছাড়াই টিআর-কাবিটার টাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র তাদের মণগড়া ভাবে উপজেলার কালাকুমা বৈশাখী বাজার থেকে তাড়ানি গ্রামের ভোগাই নদী পর্যন্ত ৬ থেকে ৭ ফুট গভীর এবং ১৫ থেকে ১৬ ফুট প্রশস্ত করে প্রায় ৩ কিলো মিটার খাল খনন করা হচ্ছে।
তারা আরও জানান, স্থানীয় অদিবাসীদের রেকর্ডিয় সম্পত্তির ওপর দিয়ে এ খাল খনন করা হলেও তাদেরকে কোন ধরনের ক্ষতি পূরণ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অদিবাসীসহ স্থানীয় নিন্ম আয়ের জনগন। এতেকরে ওই এলাকার অন্তত ১৩টি গারো পরিবারসহ নিন্মআয়ের শতাধিক পরিবার বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানান পরিদর্শন কারী নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দরা। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো ক্ষতিপূরণ ও প্রতিকার দাবী করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও আজ পর্যন্ত এর কোন সুষ্ঠ সুরাহা দেখছেন না তারা।
ক্ষতিপূরণ ছাড়াই জোরপূর্বক খাল খননের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ।