শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও সদর উপজেলা থেকে ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রাম থেকে আলী হোসেন নামে ২২ মাস বয়সের এক শিশু ও সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রাম থেকে আফরিন (৯) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলী হোসেন স্থানীয় উত্তর বানিয়াপাড়া (আসামপাড়া) গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের ছেলে এবং শিশু আফরিন সদর উপজেলার বাজিতখিলা গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর মেয়ে।
পুলিশ ও নিহত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বাড়ির সামন থেকে শিশু আলী হোসেন নিখোঁজ হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে শুক্রবার ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন জসিম উদ্দিন। পরে শুরু হয় পুলিশী অভিযান। মালিঝিকান্দা বিট পুলিশ কর্মকর্তা এস আই মাসুদ রানার নেতৃত্বে গত দুইদিনের চিরুনি অভিযানে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় বানিয়াপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার পুকুরের পাশের ডোবার পানিতে কচুরিপানার নিচ থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। খবর পেয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফরোজা নাজনীন, ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশু আলী হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে শিশু আফরিন ঈদ উপলক্ষে শুক্রবার তার মা হোসনে আরা বেগমের সাথে মির্জাপুর গ্রামের নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরে সেখান থেকে একই গ্রামে অবস্থিত তার মায়ের (হোসনে আরা বেগম ) নানা আবুল কালামের বাড়িতে বেড়াতে যায় তার ছোট বোন ও মা হোসনে আরা বেগম। ওই বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে খাদে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে গোসল করতে গিয়ে আফরিন মারা যায়।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে শিশু আফরিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নেওয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।