শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কালাকুমা গ্রামের একটি ফসলি জমির মাটির নিচ থেকে উদ্ধারকৃত ১৯৬৭ সালের তৈরি হাই এক্সক্লুসিভ (এইচ-ই) ১২০ এমএম মর্টারের গোলাটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোমা ডিসপোজাল ইউনিট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করেছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঘাটাইল ক্যাম্পের মেজর নাহিদ শারমিনের নেতৃত্বে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দক্ষ দল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিস্ক্রিয় করেন।
এসময় সদ্য যোগদানকৃত নালিতাবাড়ী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন, নালিতাবাড়ী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদলসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বিভাগের অন্যান্যরা নিরাপদ দূরত্বে উপস্থিত ছিলেন।
সেনাবাহিনীর মেজর নাহিদ শারমিনসহ বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, এ বোমাটি ১৯৬৭ সালের তৈরি এবং হাই এক্সক্লুসিভ (এইচ-ই) গোলা। তারা ধারণা করে বলেন, এ মর্টার বোম্বটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে আনা হয়ে থাকতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে স্থানীয় এক নদীর পাড় থেকে পাথর তুলতে গিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার কালাকুমা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে হুমায়ুন একটি ধাতব পদার্থ পান। এটিকে দামী ধাতব পদার্থ মনে করে বিপদজনক বোমাটি নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে সেটিকে বাড়ির সামনে একটি ফসলি জমিতে গর্তকরে পুঁতে রাখেন।
বিষয়টি এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়রা রামচন্দ্রকুড়া বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিজিবি জোয়ানরা মঙ্গলবার বিকেলে মাটি খুঁড়ে নিশ্চিত হন যে, এটি একটি সতেজ বোমা হতে পারে। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এলাকাটি কর্ডন করে রাখেন এবং সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চান। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক দেখা দিলেও প্রশাসন এগিয়ে আসায় তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।