বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শেরপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি’র জেলা কমিটি গঠন: সভাপতি নজরুল, সম্পাদক হযরত নকলায় ফাহিম চৌধুরীর গণ সংযোগ ও পথসভায় জনতার ঢল নকলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের আহবান নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন’র মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ছাত্রনেতা জুবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে নকলায় কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা পানিফলে কয়েকগুণ লাভ, বানিজ্যিক ভাবে চাষে ঝুঁকছেন কৃষক নকলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন আর নেই নকলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন জোরদারে স্থানীয় পর্যায়ে করনীয় বিষয়ক সভা আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীর সাথে একমত পোষণ করে বিএনপি’র বিবৃতি

শেরপুর ও শ্রীবরদী পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেন তৃণমূল সুপারিশের তৃতীয়রা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • প্রকাশের সময় | বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৪১৭ বার পঠিত

চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে শেরপুর জেলার সদর পৌরসভা ও শ্রীবরদী পৌরসভার নির্বাচনে তৃণমূলের বাছায়ে কেন্দ্রে পাঠানো প্যানেল প্রস্তাবনার প্রথম ও দ্বিতীয় ক্রমিকের প্রার্থীদের টপকে তৃতীয় ক্রমিকের প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন (নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন। শেরপুর সদর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেন বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন ও শ্রীবরদী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেলেন মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া।

এই দুই পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে এলাকায় বেশ ঘোলাটে অবস্থায় বিরাজ করছিলো। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই শেষে শেরপুর সদর পৌরসভায় আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনকে ও শ্রীবরদী পৌরসভায় মোহাম্মদ আলী লাল মিয়াকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

১৩ জানুয়ারি বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় বিভিন্ন সূত্র মনোনয়ন নিশ্চিতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে জেলাব্যাপী এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে শেরপুর পৌরসভার মনোনয়ন বঞ্চিতদের সমর্থকরা শেরপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করার পাশাপাশি দোকানপাট ও গাড়ি ভাংচুর করেছে বলে জানা গেছে। শেরপুর জেলা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করলে, পরিবেশ শান্ত করতে শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ জানুয়ারি রবিবার, ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রর্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিরতিহীন ভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চতুর্থ ধাপে শেরপুর জেলার শেরপুর সদর পৌরসভা ও শ্রীবরদী পৌরসভাসহ দেশের ৫৬টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ ৫৬টি পৌরসভার মধ্যে ৩১টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে এবং ২৫টি পৌরসভার নির্বাচন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

এ নির্বাচনে শেরপুর জেলার শেরপুর সদর ও শ্রীবরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শেরপুর সদর পৌরসভা ও শ্রীবরদী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ভোট গ্রহন করে নেতৃবৃন্দের সমর্থন যাচাই করা হয়। এতে শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য ৪ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে নৌকার প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূলের সমর্থ পেতে ৩ জন তৃণমূলের ভোটে অংশ নেয়। এখানে ১০৯ ভোটারের মধ্যে ১০৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এরমধ্যে আনিসুর রহমান আনিস ৪৮ ভোট পেয়ে তৃণমূলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ারুল হাসান উৎপল পেয়েছিলেন ৩৩ ভোট ও দলীয় মনোনয়ন পাওয়া বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন ২১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন; আর একটি ভোট নষ্ট হিসেবে গন্য হয়। এদিকে দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে তৃণমূলের ভোট গ্রহণ করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার তৃণমূলের ওই ভোট প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূলের ভোটে অংশ নেয়নি। তিনি আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতীদ্বন্দ্বীতা করবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যাদিকে জেলার শ্রীবরদী পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য ৭ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে নৌকার প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূলের সমর্থ পেতে ৫ প্রার্থী তৃণমূলের ভোটে অংশ নেয়। এখানে ১৩৪ ভোটারের মধ্যে ১২৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে সফিকুল ইসলাম সফিক ৫৬ ভোট পেয়ে তৃণমূলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট মেরাজ উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছিলেন ২৭ ভোট, তাছাড়া অপর প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া ২০ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছিলেন, আর আলমগীর হোসেন পেয়েছিলেন ১০ ভোট, অ্যাডভোকেট শাহীদ উল্লাহ শাহী পেয়েছিলেন ৭ ভোট। এদিকে দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে তৃণমূলের ভোটে অংশ গ্রহন না করেও জুয়েল আকন্দ পেয়েছিলেন ৩ ভোট এবং অপর সম্ভাব্য প্রার্থী আমিনুল ইসলাম টাইগার তৃণমূলের ভোটে অংশ নেয়নি।

উল্লেখ্য, শেরপুর জেলার ৪টি পৌরসভা নির্বাচনে নকলা পৌরসভা থেকে কেন্দ্রে পাঠানো প্যানেল প্রস্তাবনার প্রথম জন (হাফিজুর রহমান লিটন) আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। আর বাকি ৩ পৌরসভায় তৃণমূলের প্যানেল প্রস্তাবনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় জনকে কেন্দ্র থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। ফলে নালিতাবড়ী, শেরপুর ও শ্রীবরদী পৌরসভা থেকে পাঠানো প্যানেল প্রস্তাবনা সঠিক হয়নি বলে মনে করছেন সুশীলজনসহ সাধারন জনগন। সুশীলজনসহ সাধারন ভোটারদের মধ্যে অনেকে বলেন, মাঠ পর্যায়ের সাধারণ ভোটারদের সমর্থন বিবেচনা না করে, হাতে গুনা তৃণমূলের কয়েকজন নেতৃবৃন্দের সমর্থন বিবেচনায় কেন্দ্রে প্যানেল প্রস্তাবনা পাঠালেও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তা সরাসরি বিবেচনা করেননি। তিনি দলীয় গোপন তদন্তের ভিত্তিতে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে তাদের ধারনা। তাই নালিতাবাড়ীতে তৃণমূলের প্রস্তাবনার প্রথম জন মো. হাবিবুর রহমান ডিপুকে বাদ দিয়ে দ্বিতীয় জন বর্তমান মেয়র মো. আবু বক্কর সিদ্দিক-কে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এবং শেরপুর ও শ্রীবরদীতে তৃণমূলের প্রস্তাবনার প্রথম ও দ্বিতীয় জনকে বাদ দিয়ে তৃতীয় জনকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আওয়ামী লীগের দলীয় (নৌকা প্রতীকের) মনোনয়ন দাতাব্যাক্তিরা।

নিউজটি শেয়ার করুনঃ

এই জাতীয় আরো সংবাদ
©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | সমকালীন বাংলা
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102