বর্তমান সময়ে টেস্ট কিংবা ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান কে? জিজ্ঞাসা করলে চোখ বন্ধ করে একবাক্যে সবাই বলে দেবে, বিরাট কোহলি এবং স্টিভেন স্মিথের নাম। তবে পাকিস্তানের প্রধান কোচ এবং প্রধান নির্বাচক মিসবাহ-উল হক মনে করেন, তাদের দেশের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক বাবর আজমের যোগ্যতা আছে কোহলি এবং স্মিথের কাছাকাছি যাওয়ার।
বিশ্বসেরা হওয়ার সব ধরনের মশলা আছে বাবর আজমের মধ্যে। প্রতিভার দিক দিয়েও বাবর আজম খুব একটা পিছিয়ে নেই বিরাট কোহলি এবং স্টিভেন স্মিথদের চেয়ে। নিজ দলের ক্রিকেটার নিয়ে এমনই মূল্যায়ন করছেন মিসবাহ-উল হক।
এক ইউটিউব চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাবর আজমকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তুলনায় বিশ্বাসী নই। তবে বিরাট কোহলি, স্টিভ স্মিথ, জো রুটের প্রায় কাছাকাছি বাবর আজম। তবে কোহলিকে ছাপিয়ে যেতে হলে স্কিল, ফিটনেস নিয়ে আরও পরিশ্রম করতে হবে বাবরকে।’
গত সপ্তাহেই বাবর আজমকে পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মনোনীত করা হয়। আগেই তিনি টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলেন। তাাকে নিয়ে মিসবাহ বলছেন, ‘বাবর আজমকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক বানিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। আমরা দেখতে চেয়েছিলাম এই চ্যালেঞ্জটা সে কিভাবে গ্রহণ করে। আমরা সবাই একমত বাবর আজম দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। সবচেয়ে প্লাস পয়েন্ট হল, বাবর আজম বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের অন্যতম। ফলে সে দলের বাকিদের সামনে দৃষ্টান্তও তৈরি করতে পারবে।’
মিসবাহর মতে, বাবর আজমের মতো পারফরমার দলে থাকলে, বাকিরাও অনুপ্রাণিত হবেন। মিসবাহ বলেন, ‘২০১০ সালে আমি যখন ক্যাপ্টেন হয়েছিলাম, তখন আমার পারফরম্যান্স ভাল ছিল না। উত্থান-পতন ছিল; কিন্তু নেতৃত্ব আমাকে বদলে দেয়। আরও পরিশ্রমী এবং নিবেদিতপ্রাণ এক ক্রিকেটার হয়ে উঠি। তেমনই বাবর আজম শুধুমাত্র অর্থ রোজগারের জন্য খেলে না। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের পারফরমার হতে চায় বাবর আজম।’
বাবর আজমের ক্যারিয়ার খুব বেশি বড় নয়। সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে এখনও পর্যন্ত সাড়া জাগানো পারফরম্যান্স করেছেন ২৫ বছর বয়সি বাবর আজম। এই মুহূর্তে তিনি পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক। ২৬ টেস্ট, ৭৪ ওয়ানডে ও ৩৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। এই তিন ফরম্যাটে যথাক্রমে ১৮৫০, ৩৩৫৯ ও ১৪৭১ রান করেছেন তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে তার গড় যথাক্রমে ৪৫.১২, ৫৪.১৭, ৫০.৭২। টেস্ট, ওয়ানডে ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা যথাক্রমে ৫টি ও ১১টি।
অন্যদিকে ৩১ বছর বয়সি বিরাট কোহলি খেলেছেন ৮৬ টেস্ট, ২৪৮ ওয়ানডে, ৮২টি টি-টোয়েন্টি। এই তিন ফরম্যাটে তিনি করেছেন যথাক্রমে ৭২৪০, ১১৮৬৭, ২৭৯৪ রান। গড় যথাক্রমে ৫৩.৬২, ৫৯.৩৩, ৫০.৮০।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, তিন ফরম্যাটেই গড় পঞ্চাশের বেশি কোহলির। টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার শতরানের সংখ্যা ৭০টি।